সারাবিশ্ব যেখানে অনলাইন ব্যবসায় সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে আমাদের দেশ ও পিছিয়ে নেই অনলাইন বিজনেস এ । হিসাব করলে দেখা যাবে গত ১-২ বছর আমাদের দেশে অনলাইন বিজনেস এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে । তারা সবাই আবার তরুণ প্রজন্মের । যেভাবে অনলাইন বিজনেস এর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেখা যাবে যে কয়েক বছর পর এই বিজনেস এ সবার পক্ষে টিকে থাকাটা অনেক বেশী চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে ।
তবে চ্যালেঞ্জ এর মাঝে থেকেও বুদ্ধিমত্তার সাথে নিজের অনলাইন বিজনেসটা সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হলে পরবর্তীতে বাজারে টিকে থাকা নিয়ে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়না । তাহলে শুরু করা যাক কীভাবে অনলাইন বিজনেস শুরু করলে ভবিষ্যৎ সফলতা পাওয়া যাবে ।
অনলাইন বিজনেস কীভাবে শুরু করা যায়
ইউনিক পণ্য সিলেক্ট করতে হবে
এমন কোন পণ্য নির্বাচন করা, যেটার অনলাইন বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে কিন্তু অনলাইন বিজনেস এ এই পণ্য ব্যবসায়ীর সংখ্যা কম রয়েছে । যেমনঃ সকলে অনলাইন ব্যবসায় জামাকাপড় বেশী বিক্রি করে থাকে আপনি না হয় কিছু ইউনিক মডেলের উন্নতমানের হাত ঘড়ি বিক্রি করতে পারেন অথবা সাধ্যর মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন পারফিউম , কসমেটিক্স , ইয়ারফোন যেগুলো সচারচর সবাই বিক্রি করেনা বা অনলাইনে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও তেমন এভেলেবেল নয়। আবার বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য যেমন ঃ বর্ষায় ছাতা , রেইনকোট ইত্যাদি হাই কোয়ালিটি পণ্য, রিজোনাবল প্রাইজের মধ্যে কাস্টমারকে দেওয়ার লক্ষ রাখতে হবে ।
অনলাইন বিজনেস কীভাবে শুরু করা যায়
প্রচারনা করার সঠিক মাধ্যম
অনলাইন বিজনেস এ সবচেয়ে বড় একটা সুবিধা হলো ফেসবুক এর মাধ্যমে প্রচারণা করা যায় । বিজ্ঞাপন এর জন্য অনালাইন এ ফেসবুক এর চেয়ে বড় প্লাটফর্ম আমাদের দেশে আর নেই । এর আরেকটি কারন হচ্ছে , আমাদের দেশের মানুষ অন্য কোন সোশ্যাল প্লাটফর্মগুলো থেকে ফেসবুকে সময় দিতে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তাই ফেসবুকে পণ্যর আকর্ষণীয় ভিডিও বা পণ্যর ছবি তুলে প্রতিটা ছবি নিচে ডিটেইলস দিয়ে দেন এবং মনে রাখবেন কোন শর্ত সাপেক্ষ কথাটা ব্যবহার করা যাবে না । কাস্টমার তার চাহিদা মোতাবেক পণ্য ছবি বা ভিডিও দেখে পণ্য চয়েস করবে । এবং ক্রেতা কোন কিছু কমেন্টে বা ইনবক্সে জানতে চাইলে দ্রুত এবং মার্জিত ভাষায় সেটার রিপ্লাই করুন। পাশাপাশি, অর্ডার গ্রহণ করার পর, যত দ্রুত সম্ভব হোম ডেলিভারি দেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনি অনলাইন বিজনেস এ খুব সহজেই সফল হতে পারবেন ।
কাস্টমার ফিডব্যাক
আরেকটি জিনিস এর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে সেটা হচ্ছে কাস্টমারদের ফিডব্যাক । কাস্টমার ফিডব্যাক অনুযায়ী বুঝতে পারবেন যে আপনার বিজনেস এ কোন কোন বিষয়গুলো ইম্প্রোভ করার প্রয়োজন রয়েছে আর যদি ফিডব্যাক এনালাইসিস করার পর ইম্প্রোভ করার প্রয়োজন মনে হয়, তাহলে তা খুব তাড়াতাড়ি পরিবর্তন করে ফেলতে হবে ।
আপনি উপরের আলোচিত এই কয়টি বিষয় ফলো করলে বিজনেস শুরুর প্রথম থেকেই সফলতা অর্জন করতে পারবেন । ইনশাআল্লাহ
Written By : Fahim Ahmed
আরও জানতে ভিজিট করুন
Leave a Reply